বলিউড মডেল এখন ভিখারিণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রঙিন ঝকমকে পৃথিবীর বিচ্ছুরণের ছটায় কারো জীবন কারণে-অকারণে ব্যস্ত; আবার কারো জীবন থেকে সেই আলোকছটা ছিটকে পড়েছে অন্য কারো জীবনে। এভাবেই চলছে রঙিন ফিতার বাহারী রঙের বহুমাত্রিক রঙিন চোখ ধাঁধানো সাম্রাজ্য বলিউড।

এখানে সততার চেয়ে সটতার মূল্য অনেক বেশি। সেই মাল্টি রঙের ভীড়ে চলতি পথে পা পিছলে পেছনে পড়ে গেলেন কতশত রঙিন মুখ। এখন সাদাকালো জঞ্জালের ভীড়ে তাদের খুঁজে পেতে বড় কষ্ট হয়।

এমনই এক নামীদামি মডেলের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই মডেল  গীতাঞ্জলী নাগপালের মতোই  । দুজনেই ছিলেন, তবে এখনকার করুণ জীর্ণ দশা বলিউডি চকচকে মিথ্য অভিনয়ের স্ক্রিপ্টকেও হার মানিয়েছে। পথে পথে ভবঘুরের মতো বিরামহীন ঘুরে বেড়ান এই বলিউড জগতের চেনাজানা গ্লামারাস মেয়েটি! সেদিনের রাণী আজ পথের ভিখারিণী!

মিতালি শর্মা (২৫) নামে দিল্লির বাসিন্দা মেয়েটির বলিউডে বড় পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন ছিল। মডেল হিসেবে বেশ নামও করেছিলেন মিতালি। কাজ করেছিলেন বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার ছবিতেও। এই পেশা বেছে নেয়ায় তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি বাবা-মাও।

মিতালিও গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের কঠিন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। কাজ পাচ্ছিলেন না অনেক দিন ধরেই। কিন্তু বাড়ি ফিরে যাওয়ারও উপায় নেই। তাই মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালায় রাস্তায় ভিক্ষে করে পেট চালাতেন। সম্প্রতি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি।

২০০৭ সালে আচমকা একদিন ঠিক এভাবেই গীতাঞ্জলী নাগপালকেও রাস্তায় রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তখন তার চোখে-মুখে, শরীরের কোথাও গ্ল্যামারের লেশমাত্র ছিল না। পথের ভিখারীর সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য ছিল না তখন। সম্প্রতি একটি ঘটনায় ২০০৭ সালের সেই স্মৃতিটা আরও একবার তরতাজা হয়ে সবার সামনে এল।

পুলিশ জানিয়েছে, গত দুদিন ধরে কিছুই খাননি মিতালি। ওশিওয়াড়ার একটি হাউজিং সোসাইটির কাছে গাড়ির কাচ ভাঙতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে।

তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। আপাতত মিতালির ঠিকানা একটি মানসিক হাসপাতাল।

আরো সংবাদঃ

মার্কিন অভিনেত্রী আমান্ডার আচরণে অবাক ভক্তরা

নায়ক ফারুকের সিঙ্গাপুরে হাসপাতালের বিল প্রসঙ্গ, প্রতিবাদ করলেন নায়কের স্ত্রী

সুপারস্টার অজিতের ‘থুনিভু’ নতুন এক রেকর্ড গড়ল

টুইট করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ বচ্চন

শিজানের বোন অভিনেত্রী তুনিশা মৃত্যুরহস্য নিয়ে বড় অভিযোগ তুললেন

ওটাই ওর জীবনের বড় শাস্তি : শ্রাবন্তীর বাবা-মা